ভূমিকা ও ঘটনা সংক্ষিপ্তসার
১২ জুন ২০২৫, সকালে Air India Flight 171, একটি Boeing 787‑8 Dreamliner (VT‑ANB), (Air India Plane Crash Report 2025) আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের উদ্দেশ্যে vzomi করেছিল। এই ফ্লাইটের বহু যাত্রী ও ১৫ জন ক্রু সদস্য ছিল। টেকঅফের ৩২ সেকেন্ড পরে বিমান টি নিচে পড়ে যায়—a residential area near the airport—ফলে ২৪১ জন আবদ্ধ যাত্রীর মৃত্যু এবং বিমান ব্যক্তি জনসংখ্যার ১৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এই বিপর্যয়টিকে আধুনিক ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে ধরা হচ্ছে।
বিশাল অগ্নিকাণ্ডের পরেও একমাত্র যাত্রী ভিশ্বাস কুমার রমেশ, একজন ব্রিটিশ নাগরিক, অদ্ভুতভাবে বেঁচে যান । যদিও সূত্রভিত্তিত তথ্য অনুযায়ী হতাহতের সংখ্যা ২৬০ (২৪১ অনবোর্ড + ১৯ গ্রাউন্ড) ।
তদন্তের প্রথম রিপোর্ট: কী জানা গেছে?
১. ইঞ্জিনে জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ
প্রাথমিক প্রতিবেদনের আলোকে দেখা যায়, টেকঅফের মাত্র ৩ সেকেন্ড পর কেন্দ্রীয় ফুয়েল কাট‑অফ সুইচ ম্যানুয়ালভাবে বন্ধ (cut‑off) করা হয়। এরফলে দুটি ইঞ্জিনই কিছু সময় থ্রাস্ট না পেয়ে বন্ধ হয়ে যায় ।
২. ককপিটে বিভ্রান্তি
ব্ল্যাকবক্সের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR)–এ এক পাইলট জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কেন সুইচ বন্ধ করেছ?”—যখন অন্যজন উল্টো দাবি করেন তিনি তা করেনি । এক সংক্ষিপ্ত মুহূর্তের থ্রাস্ট বলেই মাত্র ৩২ সেকেন্ডে বিমান নিচে নেমে যায়।
৩. বুটহ্যান্ড এবং র্যাম এয়ার টারবাইন
বিমান যখন ইঞ্জিন শক্তি হারা শুরু করে, তখন র্যাম এয়ার টারবাইন (RAT) স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়—প্লেনটি অতিদ্রুত কোন উচ্চতা পায়নি ।
৪. ইঞ্জিন পুনরায় চালু চেষ্টা
দু’টি ইঞ্জিনেরই RUN অবস্থানে ফিরে আসার চেষ্টা করা হয়, তবে প্লেনে তখনও পর্যাপ্ত থ্রাস্ট উৎপন্ন হয়নি, ফলে পতন ঘটে ।
৫. নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রথম পর্যাপ্ত পরামর্শ
AAIB জানিয়েছে, Boeing বা GE‑GEnx ইঞ্জিনে কোন নির্দিষ্ট যান্ত্রিক ত্রুটির চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং এখনো কোনো তাকে দায়ী করা হয়নি। তবে পাইলটদের কার্যে বিভ্রান্তি তদন্তের প্রধান দিক হয়ে উঠেছে।

সময়সীমা ও তদন্ত কৌশল
তারিখ | ঘটনা |
---|---|
১২ জুন ২০২৫ | দুর্ঘটনা ঘটে AH‑LGW ফ্লাইটের টেকঅফের পর। |
১৩–১৬ জুন | AAIB–ব্ল্যাক বাক্স উদ্ধার; DGCA নির্দেশনা প্রকাশ। |
২৪-২৫ জুন | ডেলিতে ডেটা ডাউনলোড; সেন্সর বিশ্লেষণ। |
১১ জুলাই | AAIB–এর প্রাথমিক ফাইন্ডিংস প্রকাশ; সুইচের সচল অবস্থান এবং পাইলটদের কথোপকথন বিশ্লেষণ করা হয়। |
১২ জুলাই | AAIB প্রকাশ: Boeing ও GE তে দায় নেই; পর্যাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ চলছে । |
৬. ব্ল্যাক বাক্সের অবস্থা
দু’টিরই রেকর্ড intact পাওয়া গেছে। ভিতরের তথ্য “good data”।
৭. প্রযুক্তিগত ও মানব-গত শর্ত
DGCA Boeing 787‑এ অতিরিক্ত ফুয়েল-প্যারামিটার মনিটরিং সিস্টেম পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে । Boeing–ও তদন্তে সহযোগিতা করছে, পাশাপাশি FAA ও NTSB অংশ নিচ্ছে।
সম্ভাব্য কারণসমূহ ও উৎস থেকে পাওয়া প্রমাণ
A. পাইলট-এবং-সুইচ আচরণ
- ডুয়েল ফুয়েল-সুইচ এক সময়ে cut‑off অবস্থান—যা সাধারণ পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক নয় ।
- সুইচ আকস্মিকভাবে ম্যানুয়ালি বন্ধ— “guarded” রাখা হতো; একোক ইঞ্জিন বন্ধ করলে সেটি জরুরিভিত্তিক করা হয় গেড় ইন-গেট অবস্থায় ।
- ককপিট ভয়েস থেকে বোঝা যায় পরিস্থিতির অনুধাবনের অভাব; কার সুনির্দিষ্ট হস্তক্ষেপ—এ গবেষণা চলছে।
B. সফটওয়্যার ত্রুটির সম্ভাবনা
- একটি ইউএস এভিয়েশন আইনজীবী Boeing‑এর সফটওয়্যারে সম্ভাব্য ত্রুটির ধারাসূচি দিয়েছেন, যা অতীতে সমস্যা তৈরি করেছে ।
- Boeing ও GE কোন সিস্টেম ত্রুটি উদ্দিপ্ত নয় উল্লেখ করেছে; তবে FAA‑ও এখনো ইউনিভার্সাল নিরাপত্তা সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
C. অন্যান্য সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ কারণ
- CVR‑এর ডেটা ভলিউম ও শব্দের বিশ্লেষণে পাইলটদের মানসিক অবস্থা, কন্ট্রোল সিস্টেমের ব্যবহারে দুর্বোধ্যতা ইত্যাদি বিষয় দেখছে গবেষকরা ।
ভৌগোলিক ও সামাজিক প্রভাব
- দুর্ঘটনাস্থল ছিল Byramjee Jeejeebhoy Medical College হোস্টেলের আশেপাশের এলাকা। প্রায় ১৯ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে ।
- ভিকসুতে প্রাপ্ত CNN/AP/Reuters–এর বর্ণনায়, এক মাত্র যাত্রী টেকঅফের আগেই সেখানে না থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন—সে অভূতপূর্ব ঘটনাই ।
- যুক্তরাজ্য, কানাডা, পর্তুগাল—এই ফ্লাইটে বহুসংখ্যক বিদেশি নাগরিক ছিলেন; নিহতদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ, ১ জন কানাডিয়ান গননা করা হয়েছে ।
এখনো কোথায় অজানা?
- ফুয়েল সুইচ ম্যানুয়াল না টেকনিক্যাল টুল? – AAIB জানাচ্ছে এটি পরীক্ষার বিষয়।
- এয়ারলাইনের SOP অনুযায়ী কি SOP–বাই অ্যাকশন?—DGCA এই নিয়ন্ত্রণে গবেষক কেন্দ্র ।
- Boeing‑এর RTM (Runway Takeoff Manual) নিরাপত্তা–ফুলরূপে PLC নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা? FAA তদন্তাধীন ।
- পাইলটদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগ—এবেশি গুরুত্ব দিয়ে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
- চূড়ান্ত AAIB রিপোর্ট এ বছর অক্টোবরে বা ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
- FAA ও DGCA’র নিরাপত্তা পর্যালোচনা আশা করা যাচ্ছে – Boeing 787‑এ অর অতিরিক্ত পরিধি নিরীক্ষণ করা হবে।
- বিমানচালনা নিরাপত্তা নির্ধারণে SOP আপডেট করা হবে পাইলটদের ফুয়েল–সুইচ প্রয়োগে নতুন নির্দেশনায়।
- পাইলট প্রশিক্ষণে ফৌজদারি উদ্ভাবনিক দক্ষতা ও সংকট পর্যবেক্ষণ সন্নিবেশ করা হবে।
Air India Flight 171 দুর্ঘটনাটি শোকাবহ হলেও, প্রথম রিপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিচ্ছে ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচের অপ্রত্যাশিত সক্রিয়তা—যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নীতিতে মাইলস্টোন তৈরি করেছে। যাত্রার শুরুতেই প্রস্থানেই বিমান থ্রাস্ট হারায়—ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে গ্র্যাফো সুইচ এবং পাইলট-আচরণের মিথস্ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণমূলক ইনস্ট্যান্ট বিষয়ের গুরুত্ব।
এর ফলে Boeing 787‑এর স্বীকৃত সুরক্ষা অর্জনে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। তবে AAIB, DGCA, FAA, Boeing, GE ও Air India—যে সমন্বিত নিরাপত্তা তত্ত্ববধানে নিয়োজিত—তারা সঠিক দৃষ্টিতে ঘটনায় শুদ্ধতা আনতে পারলে বিশ্বব্যাপী বিমানচালনায় পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা তৈরী হবে ও মানুষদের আস্থা ফিরে আসবে।
